নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী থেকে মহেশখালী পর্যন্ত ২৫ কি. মি. সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। মহেশখালী উপজেলার ধলঘাট থেকে উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালী বাজার হয়ে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী পর্যন্ত এসড়ক জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বন্দর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এ খবরে মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি উচ্ছেদ হওয়ার আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। প্রস্তাবি চার লেনের এসড়ক নির্মাণ করা হলে সম্ভাব্য উচ্ছেদের তালিকায় রয়েছে চকরিয়ার শতশত বাড়িঘর / দোকানপাট, বদরখালী বাজারের ৬ শতাধিক দোকান পাট, ফেরীঘাট এলাকার মসজিদে বাইতুল্লাহ, বদরখালী ডিগ্রি কলেজ, বদরখালী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য দালান ও কাঁচা ঘরবাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, চার লেনের সড়কটি বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে মহেশখালীর ধলঘাটা তথা বদরখালীর চেহারা। যোগাযোগে ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তবে বদরখালীর জনগণের দাবি হচ্ছে, বদরখালী বাজারের ওপর দিয়ে প্রস্তাবিত সড়কটি বদরখালী বাজারের দুই পাশে জনমানব শূন্য খালি জায়গা দিয়ে নির্মাণ হলে সাধারণ জনগণ অপূরণীয় ক্ষতি লাঘব হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বদরখালী বাজার দিয়ে যে সড়কটি করার পরিকল্পনা নিয়েছে জাইকা উক্ত বদরখালী বাজারের উত্তরে ৬শ ফুট ও দক্ষিণে চার’শ ফুট জনমানব শূন্য খালি জায়গা রয়েছে। উক্ত খালি জায়গা দিয়ে সড়কটি নির্মাণের দাবি বদরখালীবাসীর । এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বন্দর কৃর্তপক্ষ জাইকার একটি প্রতিনিধি দল বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে এব্যাপারে মতবিনিময় সভা করেছেন। বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশরের সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বদরখালী ডিগ্রি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্য আকতারুজ্জামান বলেন, উপকূলের এক মাত্র ডিগ্রি কলেজটি অবস্থিত বদরখালী প্রাণ কেন্দ্রে। এখানে বদরখালী ছাড়াও মহেশখালীর অসংখ্যা শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসেন। সড়কটি বাজারের ওপর দিয়ে হলে কলেজটি উচ্ছেদ হবে।
ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, চার লেনের সড়কটি বাস্তবায়ন হলে মহেশখালী ও ধলঘাটার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তিনি আরোও বলেন, উপকূলীয় এ অজপাড়া গাঁয়ের লোকজনের দ্বীপ থেকে সরাসরি গাড়ি যোগে জেলা সদরসহ সমগ্র দেশে যাতায়াত করতে পারবে। পশ্চিশ পাশে বেড়িবাঁধও টেকসই হবে। তবে তিনি বদরখালী বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর দিয়ে সড়ক হবে না বলে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনেছেন বলে জানান। জাইকার প্রতিনিধি মো. নুরুল ছিদ্দিক বলেন, স্কুল, কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি চার লেনের সড়কে যাতে না পড়ে তা গুরুত্ব দেওয়া হবে শতভাগ। এই ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জাইকার নজর রয়েছে।
পাঠকের মতামত: